এ ধরনের খাবার শরীরে প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে শসা অন্যতম, যা সহজলভ্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। গ্রীষ্মের জন্য এটি একটি আদর্শ খাবার। শসা কাঁচা খাওয়া যায়, সালাদে ব্যবহার করা যায়, স্মুদি ও পানীয়তে যোগ করা যায় কিংবা রান্নায় ব্যবহার করা যায়।
তবে, শসার কিছু লুকায়িত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। পুষ্টিবিদদের মতে, এতে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম থাকে, যা অতিরিক্ত খেলে হাইপারক্যালেমিয়া হতে পারে। এ সমস্যা খুব একটা সাধারণ নয়, তবে এটি পেট ফাঁপা, পেটব্যথা এবং কিছু ক্ষেত্রে কিডনির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এ ছাড়া তিতা শসা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এতে কিউকারবিটাসিন ও টেট্রাসাইক্লিক ট্রাইটারপেনয়েড নামক বিষাক্ত উপাদান থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, এসব উপাদান শসাকে তিতা করে তোলে এবং তা খেলে অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।
শসার মধ্যে থাকা কিউকারবিটাসিন নামক একটি উপাদান কিছু মানুষের হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষত যাদের আগে থেকেই হজমজনিত সমস্যা রয়েছে। অতিরিক্ত শসা খেলে বদহজম, পেট ফাঁপা ও অস্বস্তি হতে পারে।
শসার বীজে কিউকারবিটিন নামক উপাদান থাকে, যা মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে। সাধারণত, শসা শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে, কিন্তু অতিরিক্ত খেলে এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল বের করে দিতে পারে, যার ফলে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে এবং পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় শসা সাধারণত ক্ষতিকর নয়, তবে এর মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্যের কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে, যা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। এ ছাড়া শসার আঁশ অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই শসা উপকারী হলেও পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো।
0 মন্তব্যসমূহ