Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ভেনিজুয়েলায় মার্কিন সেনা মোতায়েনের তীব্র নিন্দা মাদুরোর



ব্রাজিল বাংলা টিভি ডেস্ক: ওয়াশিংটনের পদক্ষেপকে ‘অবৈধ’ আখ্যা

ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো দেশটির উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ ও সেনা মোতায়েনকে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এ পদক্ষেপকে “অবৈধ শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রচেষ্টা” হিসেবে আখ্যা দেন।

কারাকাস থেকে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানায়, মাদক পাচার রোধের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ওয়াশিংটন ভেনিজুয়েলার নিকটবর্তী আন্তর্জাতিক জলসীমায় তিনটি এজিস-শ্রেণীর গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার মোতায়েন করছে। মার্কিন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এ অভিযানে প্রায় চার হাজার মেরিন সেনা মোতায়েনেরও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের চাপ

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরেই মাদুরোর ওপর চাপ বাড়িয়ে আসছিল। চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোর বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ এনে তার গ্রেফতারে সহায়তার পুরস্কার দ্বিগুণ করে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করে।

এর আগে ২০২০ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে মাদুরো ও ভেনিজুয়েলার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘মাদক-সন্ত্রাসবাদ’ ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে মার্কিন ফেডারেল আদালতে মামলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ অভিযোগ করে, মাদুরো “দ্য কার্টেল অফ দ্য সানস” নামের একটি কোকেন পাচারকারী চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যারা গত দুই দশকে শত শত টন মাদক যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে।

মাদুরোর প্রতিক্রিয়া

ভেনিজুয়েলার আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে মাদুরো বলেন,

“ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র, সামরিক সন্ত্রাসী হামলার হুমকি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি অনৈতিক, অপরাধমূলক ও সম্পূর্ণ অবৈধ।”

তিনি আরও বলেন, লাতিন আমেরিকা কিংবা ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের কোনো দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন মানে গোটা অঞ্চলের ওপর আক্রমণ।

পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রস্তুতির জবাবে মাদুরো জানিয়েছেন, দেশব্যাপী ৪৫ লাখ মিলিশিয়া সদস্য মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি তিনি ওয়াশিংটনের হুমকির বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং সপ্তাহান্তে সরকারপন্থী সমাবেশ করার ডাক দেন।

ওয়াশিংটনের অবস্থান

যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোর শেষ দুটি নির্বাচনে জয়কে বৈধ স্বীকৃতি দেয়নি। ওয়াশিংটনের মতে, সেসব নির্বাচন অনিয়ম ও কারচুপির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ফলে মাদুরোকে তারা ভেনিজুয়েলার বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ