ট্রাম্প এমন এক সময়ে ফেডের এই সফরে যাচ্ছেন, যখন দেশটির স্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির ওপর সুদের হার কমানোর জন্য রাজনৈতিক চাপ ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে, ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য নীতিমালা, শুল্ক আরোপ ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে এই চাপ আরও জোরালো হয়েছে।
🔍 ফেডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ক্ষোভ
ফেডের বর্তমান চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল-এর বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগেও একাধিকবার প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাকে ‘লুজার’ বলে আখ্যায়িত করে তিনি বলেছেন, পাওয়েল সুদের হার কমাতে যথেষ্ট দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। এমনকি সম্প্রতি ফেডের ২৫০ কোটি ডলারের সংস্কার প্রকল্প নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রেসিডেন্ট।
বিশ্লেষকদের মতে, এসব সমালোচনা পাওয়েলকে সরিয়ে দেওয়ার সম্ভাব্য ইঙ্গিত হতে পারে। যদিও পাওয়েলের মেয়াদ ২০২৬ সালের মে মাস পর্যন্ত চলবে, তবে রাজনৈতিক চাপ এখনো তার ওপর প্রবল।
📈 সুদের হার স্থিতিশীল, তবে সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে
চলতি বছরে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে। ব্যাংকটির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপ করা শুল্ক এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির অবস্থা পর্যালোচনার পরই সুদের বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে হোয়াইট হাউস চাইছে, নির্বাচনের আগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহ দিতে ফেড যেন হার কমায়—যা বাজারে আরও বিনিয়োগ ও খরচ বাড়াতে পারে।
🗣️ অর্থমন্ত্রীর মন্তব্যে নতুন মাত্রা
এই প্রেক্ষাপটে সোমবার মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, “ফেডারেল রিজার্ভের সার্থকতা, কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতা এখন গভীর পর্যালোচনার দাবি রাখে।”
এই বক্তব্যও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতার প্রশ্নে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
বিশ্লেষণ:
ফেডের ওপর রাজনৈতিক চাপ এবং প্রেসিডেন্টের প্রকাশ্য অসন্তোষ আগামী দিনগুলোতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা ও জেরোম পাওয়েলের অবস্থানকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। ট্রাম্পের আসন্ন সফর তাই কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়—বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকেতবাহী একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
0 মন্তব্যসমূহ