একটি কারিগরি বিবৃতিতে CNA জানায়, এই পণ্যগুলোতে মার্কিন বাজারে ব্রাজিলের অংশীদারিত্ব এতটাই বেশি যে সেখানে বিকল্প প্রতিযোগীর জায়গা খুব কম। যেমন:
-
ঠান্ডা ও হিমায়িত কমলার রসে ব্রাজিলের মার্কেট শেয়ার যথাক্রমে ৯০% ও ৫১%,
-
প্রক্রিয়াজাত গরুর মাংসে ৬৩%,
-
এবং ইথানলে ৭৫%।
এই অবস্থায় শুল্ক বাড়লে সরাসরি প্রভাব পড়বে ব্রাজিলের রপ্তানিতে।
🇺🇸 মার্কিন বাজারে ব্রাজিলের ঘাটতি পূরণকারী ভূমিকা
CNA আরও জানায়, অনেক ক্ষেত্রেই ব্রাজিল যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ঘাটতি পূরণ করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ,
-
গরুর মাংসে, যুক্তরাষ্ট্র বছরে ১২.৩ মিলিয়ন টন উৎপাদন করলেও, তাদের ভোক্তা চাহিদা ১৩ মিলিয়ন টন;
-
সয়াবিন তেল সহ অন্যান্য অনেক পণ্যে, উৎপাদন ও চাহিদা কাছাকাছি হওয়ায় ব্রাজিলীয় রপ্তানি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক।
এমন পরিস্থিতিতে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে মার্কিন বাজারে ব্রাজিলের পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান দুর্বল হতে পারে।
📉 সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ: পরিসংখ্যানভিত্তিক পূর্বাভাস
CNA-এর প্রাথমিক বিশ্লেষণে সম্ভাব্য ক্ষতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে:
🟠 কমলার রস:
-
বর্তমান রপ্তানি (২০২৩): ১.০০৪ বিলিয়ন লিটার
-
শুল্ক বৃদ্ধির পর সম্ভাব্য রপ্তানি: ২৬১ মিলিয়ন লিটার
-
রপ্তানি হ্রাস: ৭৪৩ মিলিয়ন লিটার
-
শুল্ক হার: ৫.৯% → ১৫.৯%
🛢️ ইথানল:
-
বর্তমান রপ্তানি: ৩৩৭ মিলিয়ন লিটার
-
পরে হতে পারে: ২৯৬ মিলিয়ন লিটার
-
হ্রাস: ৪১ মিলিয়ন লিটার
-
শুল্ক হার: ২.৫% → ১২.৫%
🍬 চিনি:
-
বর্তমান রপ্তানি: ৭৩ হাজার টন
-
হ্রাস পেয়ে হতে পারে: ৪৫ হাজার টন
-
ক্ষতি: ২৮ হাজার টন
-
শুল্ক হার: ৩৩% → ৪৩%
🥩 হিমায়িত গরুর মাংস:
-
বর্তমান রপ্তানি: ২০ হাজার টন
-
হ্রাস পেতে পারে: ১৭ হাজার টনে
-
শুল্ক হার: ২৬.৪% → ৩৬.৪%
CNA-এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যেসব পণ্যে ব্রাজিল মার্কিন বাজারে শীর্ষস্থানীয়, সেগুলোই নতুন শুল্ক নীতির সবচেয়ে বড় শিকার হতে চলেছে। বিশেষ করে কমলা রস, ইথানল, চিনি এবং গরুর মাংস, যেখানে ব্রাজিলীয় পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই নীতির ফলে শুধু রপ্তানি হ্রাস নয়, বাজার হারানোর ঝুঁকি ও কৃষি খাতে আঘাতও সৃষ্টি হতে পারে। তবে CNA মনে করে, যদি প্রতিযোগী দেশগুলোর উপর আরও বেশি শুল্ক আরোপ হয়, তাহলে কিছু ক্ষেত্রে ব্রাজিল 'বাণিজ্য বিকল্প পথ' খুঁজে পেতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ