মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ভোররাতে কনসার্ট চলাকালে হঠাৎ করেই ছাদটি ধসে পড়ে, ঘটনাস্থলেই বহু মানুষ নিহত হন। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা জীবিত কাউকে বের করে আনার সর্বশেষ চেষ্টা চালান, তবে এখন পর্যন্ত নতুন করে কাউকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
দুর্ঘটনার পরপরই প্রিয়জনদের খোঁজে সান্তো ডোমিঙ্গোর বিভিন্ন হাসপাতাল ও ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে ছুটে বেড়াচ্ছেন শত শত মানুষ। সঠিক তথ্য না পেয়ে অনেকেই হতাশা ও ক্ষোভে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।
ডোমিনিকান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. ভিক্টর আতাল্লাহ জানান, গুরুতর আহতদের মধ্যে অন্তত আটজনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। মোট ২৪ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, “ট্রমার মাত্রা অতিমাত্রায় হলে অনেক সময় রোগীদের বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে।”
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে বেশিরভাগের মাথা, উরু ও পেলভিসে মারাত্মক আঘাত লেগেছে। কংক্রিটের ভারী টুকরো ওপর থেকে পড়ার কারণেই এসব গুরুতর আঘাত হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ছাদের কাঠামোগত দুর্বলতাকেই এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য দায়ী করা হচ্ছে।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় গোটা দেশজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
0 মন্তব্যসমূহ