নিহত গিয়াস উদ্দিনের বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের মৃগী গ্রামে। তিনি মৃত হাজী শফিউল্লাহ মিয়ার পঞ্চম সন্তান।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার সোয়াজিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ইসোয়াতিনি শহরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে নিহতের পরিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
গিয়াস উদ্দিনের ভাই দাউদ মিয়া জানান, ২০০৯ সাল থেকে গিয়াস উদ্দিন ইসোয়াতিনিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন এবং স্থানীয় একটি শপিং সেন্টারে ব্যবসা করতেন। সম্প্রতি তিনি দুই ছেলেকে নিয়ে জার্মানি ভ্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এই উদ্দেশ্যে ভিসার আবেদন সম্পন্ন করে প্রাইভেটকারে বাসায় ফেরার পথে একটি মালবাহী লরির সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার সঙ্গে থাকা দুই সন্তান আহত হলেও তারা এখন স্থিতিশীল রয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
দাউদ মিয়া আরও জানান, কয়েক বছর আগে গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় এবং এরপর তিনি আর বিবাহ করেননি। তারা সাত ভাই ছিলেন। ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর তাদের কনিষ্ঠ ভাই ইউসুফ মিয়া সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন। তিনিও ব্যবসায়ী ছিলেন। “এক ভাইয়ের পর আরেক ভাইকে হারালাম,” বলেন দাউদ। নিহত গিয়াস উদ্দিনের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
0 মন্তব্যসমূহ