বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) প্রাক্তন মহাপরিচালক রবার্তো আজেভেদো ব্রাজিল-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য উত্তেজনা নিয়ে মন্তব্য করে বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে শুল্কবিষয়ক বিরোধ নিরসনে পারস্পরিক রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে কোনও কার্যকর সমাধান সম্ভব নয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আজেভেদো বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করেছি, ওয়াশিংটনে বাস্তবসম্মত আলোচনা শুরুর জন্য কোনো কার্যকর চ্যানেল খোলা নেই। আলোচনার প্রবণতাও নেই।”
তিনি আরো বলেন, “যদি কোনো পক্ষ আলোচনা চায় না, তাহলে কোনো সমাধান আসবে না। রাজনৈতিক সদিচ্ছাই সফল কূটনৈতিক সমাধানের মূল চাবিকাঠি।”
দুই দেশেই রাজনৈতিক অস্থিরতা, সংকট আরও গভীর
আজেভেদো আরও উল্লেখ করেন, এই জটিলতা শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষেই সীমাবদ্ধ নয়। তাঁর মতে, ব্রাজিলেও রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত, এবং সেই উত্তেজনার কোন উল্লেখযোগ্য প্রশমনের লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। দুই দেশের অভ্যন্তরীণ এই অস্থিরতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও কঠিন ও জটিল করে তুলছে।
বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ৫০% শুল্ক ব্রাজিলীয় পণ্যের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে এবং এর বিরুদ্ধে ব্রাসিলিয়া পাল্টা কূটনৈতিক অবস্থান নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, দুই দেশের মধ্যে কার্যকর আলোচনার অনুপস্থিতি ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশ্ব বাণিজ্যেও বিরূপ প্রভাব
বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থার একজন অভিজ্ঞ পর্যবেক্ষক হিসেবে আজেভেদো মনে করেন, এই ধরনের একতরফা শুল্ক আরোপ কেবল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেই নয়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকেও অস্থিতিশীল করে তোলে। WTO-র প্রাক্তন প্রধান হিসেবে তার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, “কৌশলগত কূটনৈতিক উদ্যোগ ছাড়া এমন সংকট থেকে উত্তরণ অসম্ভব।”
0 মন্তব্যসমূহ