জরিপের দায়িত্বে থাকা মার্কোস পাজিনি জানান, কফির জন্য ব্যয় বাড়লেও এর অর্থ এই নয় যে কফির ব্যবহার সেই অনুপাতে বেড়েছে। তাঁর ভাষায়, “গত কয়েক মাসে গ্রাউন্ড কফির দামে বড় ধরনের বৃদ্ধি দেখা গেছে। একই সঙ্গে ক্যাপসুল কফিও ব্রাজিলের ঘরে ঘরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে মূল্যবৃদ্ধি এবং কফিপানের অভ্যাসে পরিবর্তনের কারণে এই ব্যয় বেড়েছে।”
পাজিনি আরও বলেন, “বড় শহরগুলোতে গুরমেট কফি শপের সংখ্যাও বেড়ে গেছে, যেখানে দাম প্রচলিত কফি শপের চেয়ে বেশি।”
বিক্রিতে পতন
ব্রাজিলিয়ান কফি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (অ্যাবিক) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম চার মাসে কফি বিক্রি ৫.১৩% কমেছে। এ সময় বিক্রি ৫০,১০,৫৮০ ব্যাগ থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ৪,৭৫৩,৭৬৬ ব্যাগে।
অ্যাবিকের সভাপতি পাভেল কার্ডোসো এই হ্রাসকে স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “গত বছর নভেম্বরে অ্যারাবিকা ও রোবাস্তা কফির দাম বেড়ে যাওয়ার পর সুপারমার্কেট ও ভোক্তারা মজুদ শুরু করে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে প্রচারের মাধ্যমে এই অতিরিক্ত মজুদ বিক্রি হয়। ফলে এই সময়ের পরে বিক্রিতে কিছুটা পতন স্বাভাবিক।”
ভবিষ্যৎ প্রবণতা
মার্কোস পাজিনি মনে করেন, “সম্প্রতি ব্রাজিলে আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থান বেড়েছে। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে আগামী বছরগুলিতে দেশজুড়ে কফির ব্যবহার বাড়তেই থাকবে।”
২০২৫ সালের উৎপাদন
ন্যাশনাল সাপ্লাই কোম্পানি (কোনাব) পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৫ সালে ব্রাজিল ৫৫.৭ মিলিয়ন ব্যাগ কফি উৎপাদন করবে। এর মধ্যে প্রায় ২৬.১ মিলিয়ন ব্যাগই আসবে মিনাস গেরাইস থেকে। তবে রাজ্যটিতে দীর্ঘ খরা ও নেতিবাচক দ্বিবার্ষিক চক্রের প্রভাবে ২০২৪ সালের তুলনায় উৎপাদন ৭.১% কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
অ্যাবিকের সভাপতি কার্ডোসো বলেন, “২০২৫ সালে উৎপাদন কিছুটা কম হলেও সেপ্টেম্বর থেকে দাম কমার আশা রয়েছে। ফলে আগামী বছর সুপারমার্কেটে আরও সাশ্রয়ী দামে কফি পাওয়া যেতে পারে।”
0 মন্তব্যসমূহ