Header Ads Widget

Responsive Advertisement

পেনশন জালিয়াতি কেলেঙ্কারিতে ব্রাজিলের সামাজিক নিরাপত্তামন্ত্রীর পদত্যাগ



ব্রাজিল বাংলা টিভি ডেস্ক: ব্রাজিলে অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন তহবিল থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তৈরি হওয়া কেলেঙ্কারির জেরে সামাজিক নিরাপত্তামন্ত্রী কার্লোস লুপি শুক্রবার পদত্যাগ করেছেন। রাজধানী ব্রাসিলিয়া থেকে এএফপি জানায়, মূল বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন লুপি নিজেই।

অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও সংস্থা অবসরপ্রাপ্তদের অজান্তে তাদের পেনশন থেকে অর্থ কেটে নিচ্ছিল। জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা ইনস্টিটিউট (আইএনএসএস)-এর কয়েকজন কর্মকর্তার সহায়তায় এই অর্থ কাটার প্রক্রিয়া চালানো হতো বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে আইএনএসএস-এর প্রধানকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়। একই সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর এক সদস্যসহ আইএনএসএস-এর আরও চারজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান কন্ট্রোলার জেনারেলস অফিস জানিয়েছে, অবসরপ্রাপ্তদের অজান্তেই বিভিন্ন সেবার নামে (যেমন—আইনি সহায়তা) অর্থ কেটে রাখা হচ্ছিল। যদিও বেশিরভাগ ভুক্তভোগী এসব সেবা গ্রহণ করেননি কিংবা তার জন্য কোনো সম্মতিও দেননি।

২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন থেকে প্রায় ৬৩ বিলিয়ন রিয়াল (প্রায় ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) কেটে রাখা হয়েছে। এর কতটা বেআইনিভাবে কাটা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এই কেলেঙ্কারির মাধ্যমে এক মাসের ব্যবধানে লুলা দা সিলভার নেতৃত্বাধীন সরকারের দ্বিতীয় কোনো মন্ত্রী দুর্নীতির দায়ে পদত্যাগ করলেন। এর আগে এপ্রিলের শুরুতে যোগাযোগমন্ত্রী জুসেলিনো ফিলহো ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে পদত্যাগ করেন।

উল্লেখ্য, দুর্নীতি ইস্যুটি ব্রাজিলের বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার জন্য বিশেষভাবে স্পর্শকাতর। ২০১৮-১৯ সালে তিনিও ঘুষ গ্রহণের মামলায় দেড় বছর কারাভোগ করেছিলেন। যদিও পরবর্তীতে আদালতের রায়ে বলা হয় বিচারক পক্ষপাতদুষ্ট ছিলেন, ফলে লুলা ২০২২ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পান এবং পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

তবুও, দুর্নীতির সেই অতীত ইতিহাস আজও অনেক ব্রাজিলিয়ানের মনে লুলার ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে রেখেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ