বাহিয়া রাজ্যে হেক্টরের পর হেক্টর জুড়ে কোকো চাষের এই উচ্চাভিলাষী উদ্যোগ নিয়েছেন কোকো চাষি ও উদ্যোক্তা মোইসেস শ্মিট। তার কোম্পানি, শ্মিট এগ্রিকোলা, ইতিমধ্যে ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ শুরু করেছে এবং আন্তর্জাতিক কোকো ও চকলেট কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ আকৃষ্ট করছে।
বিশ্বব্যাপী কোকোর সংকট যখন তীব্র, তখনই এই প্রকল্প চালু হয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকায় কোকো উৎপাদন স্থবির হয়ে পড়লেও বাজারে এর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। সংকট মোকাবিলায় নতুন উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
উদ্যোক্তা শ্মিট কোকো সংকট আগেই আঁচ করেছিলেন। তিনি বলেন, "আমরা বুঝতে পেরেছিলাম সংকট আসছে, তবে এতো দ্রুত ঘটবে তা ভাবিনি।"
বিশ্বের বেশিরভাগ কোকো খামারের আয়তন গড়ে ৫০ হেক্টরের কাছাকাছি। ইকুয়েডরে কিছু বড় খামার থাকলেও, সেগুলোর আয়তন কয়েকশ' হেক্টরের বেশি নয়। শ্মিটের খামারে বর্তমানে ৪০০ হেক্টর জমিতে কোকো উৎপাদন হচ্ছে, যেখানে প্রতি হেক্টরে ফলন ৩ হাজার কেজি—যা ব্রাজিলের প্রচলিত কোকো খামারের তুলনায় ১০ গুণ বেশি।
এমনকি বিশ্বের সর্ববৃহৎ কোকো উৎপাদনকারী দেশ আইভরি কোস্টেও প্রতি হেক্টরে গড় ফলন মাত্র ৫০০ কেজি। শ্মিটের আশা, ভবিষ্যতে তার খামারের উৎপাদন প্রতি হেক্টরে ৪ হাজার কেজি ছাড়িয়ে যাবে।
0 মন্তব্যসমূহ