প্রথমে তাঁদের ফেসবুকে আলাপ। তারপর কথাবার্তা চলতে থাকে। ৬ বছরের সম্পর্কের রঙ গাঢ় হতে থাকে। ভালবাসার সম্পর্ককে পরিণতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দুজনেই। মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা হয় কার্তিকের । এবং মেয়েরও ছেলের পরিবারের সবার সঙ্গেও কথা হয়। ২ বছর আগেই বিয়ের সিদ্ধান্ন নেন দুজনে।
শুক্রবার চার হাত এক হতে চলেছে। ম্যানুয়েলার বাড়িতে মোট ৬ জন সদস্য। তাঁদের বিদায় জানিয়েই এসেছেন তিনি। টিনের চালের বাড়িতে ভালবাসার বন্ধনেই থাকতে চান তিনি। কার্তিক যখন সুরাটে কাজের সূত্রে ছিলেন, ঠিক সেই সময় ম্যানুয়েলা ব্রাজিল থেকে দিল্লিতে চলে আসেন। এরপর দিল্লি থেকে কার্তিক ম্যানুয়েলাকে নিয়ে সোজা এই মেঠো গ্রামের বাড়িতে।
বাংলায় কয়েকটা শব্দ শিখেছে ম্যানুয়েলা। যেমন কার্তিক যখন তাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে তাঁর অনুভূতি শেয়ার করতে বলেন, তখন লজ্জা পেয়ে ম্যানুয়েলা বলেন, ‘তুমি বলো।’ ম্যানুয়েলা বাংলা শেখার চেষ্টা করছেন। আপাতত কার্তিকের পরিবারের সদস্যরা ‘মোবাইল ল্যাঙ্গুয়েজে’র মাধ্যমেই ম্যানুয়েলার সঙ্গে কথা বলছেন। বিদেশি বৌমা পেয়ে খুশি কার্তিকের বাবা মা। আর এদিকে, বিয়ের আগেই রোজ বিদেশি বৌমা দেখতে টিনের চালের ছোট্ট ঘরে ভিড় জমছে প্রতিবেশীদের। আর ভাষা না বুঝলেও মিষ্টি হেসে তাঁদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করছেন ম্যানুয়েলা।
সূত্র -TV9 Bangla

0 মন্তব্যসমূহ