Header Ads Widget

Responsive Advertisement

একটি ছাড়া সুমুদ ফ্লোটিলার সব নৌযান ইসরায়েলের দখলে



ব্রাজিল বাংলা টিভি ডেস্ক:ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙার আশায় ফিলিস্তিনের গাজার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বিশাল বহর। তবে শেষ পর্যন্ত টিকে আছে মাত্র একটি নৌযান, যা বর্তমানে গাজার উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খুব শিগগিরই এই অধ্যায়ও শেষ হবে।

দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি সামুদ্রিক অবরোধ ভাঙার এই প্রচেষ্টা কোনো বড় ধরনের সংঘাত ছাড়াই সমাপ্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার "উস্কানি" শেষ হয়েছে। তাদের দাবি, হামাস-সমর্থিত কোনো নৌযান সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারেনি কিংবা “বৈধ নৌ অবরোধ” ভাঙতেও ব্যর্থ হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ফ্লোটিলার যাত্রীরা সবাই নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। তাদের প্রথমে ইসরায়েলে নেওয়া হচ্ছে এবং পরে ইউরোপে পাঠানো হবে। এ ছাড়া একটি জাহাজ, যেটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি থাকার আশঙ্কা রয়েছে, সেটি গাজার কাছে সমুদ্রে ভাসছে। যদি এটি অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করে তবে প্রতিরোধ করা হবে বলেও সতর্ক করেছে ইসরায়েল।

এর আগে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ট্র্যাকার ৪৪টি নৌকার মধ্যে প্রায় সবকটিকেই ইসরায়েলি নৌবাহিনী কর্তৃক “নিশ্চিতভাবে বাধাপ্রাপ্ত” বা “সম্ভাব্যভাবে বাধাপ্রাপ্ত” বলে চিহ্নিত করেছে। তখন ধারণা করা হচ্ছিল, সামারটাইম-জংশিরিন নামের দুটি আইনি সহায়তাকারী জাহাজ এবং আরও দু’টি নৌযান (মাইকেনোম্যারিনেট) এখনো গাজার উদ্দেশে অগ্রসর হচ্ছে।

তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির পরপরই ফ্লোটিলা ট্র্যাকার হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে আর কোনো নৌযানের গতিপথ বা বর্তমান অবস্থা দেখা যাচ্ছিল না, কেবল মানচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছিল। কিছু সময় পর সাইটটি আবার সক্রিয় হলেও বিস্তারিত তথ্য অদৃশ্য ছিল।

এদিকে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, আটক হওয়া গাজার কর্মীরা সুস্থ আছেন। নৌবাহিনীর কমান্ডোরা সমুদ্রে তাদের আটক করলেও কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আটক ব্যক্তিদের আশোদ বন্দরে নেওয়া হচ্ছে এবং পরবর্তীতে তাদের ইউরোপে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ