প্রেসিডেন্ট সি বলেন, চীন ব্রাজিলের সাথে দৃঢ়ভাবে বহুপক্ষীয়তা বজায় রাখবে, একসাথে অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তুলবে এবং একটি আরো সুন্দর বিশ্ব নির্মাণে কাজ করবে। তিনি উল্লেখ করেন, ‘পাঁচ বছর পর আবার ভালোবাসা ও আশার সমৃদ্ধ ব্রাজিলে আসার সুযোগ পেয়েছি। আমি ব্রাজিলের বিভিন্ন মহলের বন্ধুদের কাছ থেকে চিঠি পেয়েছি, যেখানে দ্বিপাক্ষিক মৈত্রী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার প্রতি ব্যাপক আশাবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট লুলার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ও ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি। গত ৫০ বছরে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের ইতিহাস স্মরণ করে আমরা ভবিষ্যতে আরো ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি নিয়েছি।’
চীন-ব্রাজিল সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে ধারাবাহিক ও গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্যে পৌঁছেছেন দু’নেতা। এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের মাধ্যমে দু’দেশ একসাথে আরো ন্যায়সংগত ও টেকসই উন্নয়ন এবং অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তুলবে। তারা যৌথভাবে ‘বেল্ট এন্ড রোড’ উদ্যোগকে ব্রাজিলের উন্নয়ন কৌশলের সাথে যুক্ত করার বিষয়েও একমত হন। বৈশ্বিক কাঠামোর দ্রুত পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে চীন ও ব্রাজিল তাদের সহযোগিতা আরো জোরদার করবে এবং ‘গ্লোবাল সাউথ’ দেশগুলোর ঐক্যের উদাহরণ স্থাপন করবে।
সি চিন পিং আরও বলেন, বিশ্বের পশ্চিম ও পূর্বের দুটি বৃহৎ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চীন ও ব্রাজিল সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের অধিকার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে একে অপরকে সমর্থন করবে। উভয় দেশ আর্থ-বাণিজ্য, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, অবকাঠামো ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশ সংরক্ষণসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা উন্নত করবে। এছাড়াও, জ্বালানি সম্পদ রূপান্তর, ডিজিটাল অর্থনীতি, এআই প্রযুক্তি এবং সবুজ খনিজ সম্পদসহ নবোদিত খাতগুলোতে সহযোগিতা আরো জোরদার করা হবে, যাতে উভয় দেশের আধুনিকায়ন দ্রুত সম্পন্ন করা যায়।
আগামী বছর চীন ও লাতিন আমেরিকা ফোরামের প্রতিষ্ঠার দশম বার্ষিকী উদযাপিত হবে। চীন আশা করছে, এই উপলক্ষে ব্রাজিলসহ লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশের সাথে সহযোগিতার নতুন ধাপে উন্নীত হওয়া যাবে।
প্রেসিডেন্ট লুলা বলেন, যদিও ব্রাজিল ও চীনের ভৌগোলিক অবস্থান দূরে, তবে তাদের মূল্যবোধে অনেক মিল রয়েছে এবং অভিন্ন স্বার্থ ও সুগভীর ঐতিহ্যিক বন্ধুত্ব রয়েছে। উভয় পক্ষের সহযোগিতা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। চীন ব্রাজিলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার এবং চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্রাজিলের অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি উল্লেখ করেন, চীনের সাথে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা আরো সম্প্রসারণ করা হবে এবং জাতিসংঘ, জি-২০, ব্রিক্সসহ বিভিন্ন সংস্থায় চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা চালিয়ে যাবেন, যৌথভাবে বৈশ্বিক প্রশাসন ও ন্যায়সঙ্গত আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনার গঠনে প্রচেষ্টা চালাবেন।
.png)
0 মন্তব্যসমূহ