ব্রাজিলের আটটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ আমেরিকান বাজারে রপ্তানির অংশ ১৩.২% থেকে ১১%-এ নেমে এসেছে, অন্যদিকে চীনের বাজার দখল ২২.১% থেকে ২৩.৪%-এ বেড়েছে। চীনের কৌশলগত প্রসার বিশেষ করে কলম্বিয়া, পেরু, উরুগুয়ে, এবং প্যারাগুয়েতে সফল হয়েছে, যদিও আর্জেন্টিনা এবং প্যারাগুয়েতে কিছু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছে।
চিলির বাণিজ্যিক পরিস্থিতি এই পরিবর্তনের একটি ভালো উদাহরণ। ব্রাজিলের চিলিতে রপ্তানি ৯.২%-এ নেমে এসেছে, যেখানে চীন তার অবস্থান ২৩.৯%-এ উন্নীত করেছে। পেরুতেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যেখানে ব্রাজিলের বাজার শেয়ার ৫.৬%-এ নেমেছে, কিন্তু চীন ২৭.৪%-এ পৌঁছেছে।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীনের ব্রাজিল এবং অন্য আটটি দক্ষিণ আমেরিকান গন্তব্যে রপ্তানি ১০৬.৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। শুধুমাত্র ব্রাজিলমুখী চীনা রপ্তানি ৫৫.১ বিলিয়ন ডলার, যা ২৪.৯% বৃদ্ধি দেখিয়েছে। তবে, আর্জেন্টিনার অর্থনৈতিক মন্দার কারণে অঞ্চলটির বাণিজ্যিক ধারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। ব্রাজিলের আর্জেন্টিনায় রপ্তানি ১৩.৬ বিলিয়ন ডলার থেকে ৯.৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা ২৯.২% হ্রাস।
বাণিজ্যের এই পরিবর্তনগুলির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে গাড়ি খাত, বিশেষত চীন থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্রমবর্ধমান বাজার দখল। চীন তার অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের অতিরিক্ত সরবরাহ মোকাবিলা করতে বিশেষভাবে আমেরিকা ও ইউরোপের চেয়ে কম বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতাযুক্ত বাজারগুলিতে লক্ষ্য করছে।
এখন, ব্রাজিল তার ঐতিহ্যবাহী উৎপাদন সুবিধা হারানোর সম্মুখীন, যা দক্ষিণ আমেরিকার বাজারগুলিতে তার প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।
.png)
 
 
 
 
.png) 
.png) 
 
0 মন্তব্যসমূহ